ঢাকা ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
চিৎকার শুনে ছিনতাইকারীকে দৌড়ে ধরলেন সার্জেন্ট, সোনার চেইন উদ্ধার চিৎকার শুনে ছিনতাইকারীকে দৌড়ে ধরলেন সার্জেন্ট, সোনার চেইন উদ্ধার ড. ইউনূসের সফর বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সম্পর্ক আরও জোরদার করবে ৫ আগস্টের মধ্যে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করতে হবে: নাহিদ ইসলাম শান্তি প্রতিষ্ঠায় দরকার আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন : সৈয়দ রেজাউল করীম দেশের প্রতি মানুষের ভালোবাসার প্রমাণ জুলাই বিপ্লব : জ্বালানি সচিব ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ’ স্লোগানে মুখর বায়তুল মোকাররম এলাকা শুল্ক আরোপ নিয়ে দেশে দেশে টানাপোড়েন, অটল অবস্থানে ট্রাম্প সাংবাদিকতার স্বাধীনতায় সংবিধান ও আইন সংশোধনের সুপারিশ সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তা ও আইনের বিষয়ে যে সুপারিশ করেছে কমিশন

খুলনায় জাতীয় পার্টির অফিস ভাঙচুর, আসবাবপত্রে অগ্নিসংযোগ

খুলনায় জাতীয় পার্টির একটি কার্যালয় ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। তারা কার্যালয়টির আসবাবপত্র বাইরে এনে অগ্নিসংযোগ করেছে।

শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর ডাকবাংলা মোড়ে অবস্থিত জাতীয় পার্টির অফিসে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা মিছিল সহকারে ডাকবাংলা মোড়ে আসেন। তারা মোড় পার হয়ে জাতীয় পার্টির খুলনা মহানগর ও জেলা কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলেন। এরপর তারা কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে চেয়ার-টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। পরে ভাঙাচুর করা মালামাল বাইরে এনে রাস্তার ওপর রেখে অগ্নিসংযোগ করেন। সবশেষে জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

এ বিষয়ে খুলনার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি ঢাকা পোস্টকে বলেন, উত্তেজিত জনতা জাতীয় দালাল ও ফ্যাসিস্টের প্রধান সহযোগী জাতীয় পার্টির অফিস ভাঙচুর করেছে। সড়কে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। এর সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্পৃক্ততা নেই।

খুলনা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু বলেন, মাগরিবের নামাজের সময় পার্টি অফিসে কেউ ছিল না। তখন ৫০-৬০ জনের একদল ছাত্র-যুবক তাদের কার্যালয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপর তারা পার্টি কার্যালয়ে ঢুকে সাইনবোর্ড, চেয়ার-টেবিল, ফ্যান, টিভি ভাঙচুর করে। তারা কয়েকটি ফাইল ও কাগজপত্র নিয়ে যায়। এছাড়া তারা কয়েকটি চেয়ার, ব্যানার-প্লাকার্ড নিয়ে পার্টি অফিসের সামনের রাস্তায় আগুন দেয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

খুলনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুল গিয়াস বলেন, সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা মিছিল সহকারে এসে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। তারা অফিসকে কেন্দ্র করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। কার্যালয়ের ভেতর থেকে দুটি প্লাস্টিকের চেয়ার বাইরে এনে অগ্নিসংযোগ করে। যারা হামলা করেছে তাদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

চিৎকার শুনে ছিনতাইকারীকে দৌড়ে ধরলেন সার্জেন্ট, সোনার চেইন উদ্ধার

খুলনায় জাতীয় পার্টির অফিস ভাঙচুর, আসবাবপত্রে অগ্নিসংযোগ

প্রকাশিত : ১০:২২:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

খুলনায় জাতীয় পার্টির একটি কার্যালয় ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। তারা কার্যালয়টির আসবাবপত্র বাইরে এনে অগ্নিসংযোগ করেছে।

শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর ডাকবাংলা মোড়ে অবস্থিত জাতীয় পার্টির অফিসে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা মিছিল সহকারে ডাকবাংলা মোড়ে আসেন। তারা মোড় পার হয়ে জাতীয় পার্টির খুলনা মহানগর ও জেলা কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলেন। এরপর তারা কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে চেয়ার-টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। পরে ভাঙাচুর করা মালামাল বাইরে এনে রাস্তার ওপর রেখে অগ্নিসংযোগ করেন। সবশেষে জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

এ বিষয়ে খুলনার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি ঢাকা পোস্টকে বলেন, উত্তেজিত জনতা জাতীয় দালাল ও ফ্যাসিস্টের প্রধান সহযোগী জাতীয় পার্টির অফিস ভাঙচুর করেছে। সড়কে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। এর সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্পৃক্ততা নেই।

খুলনা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু বলেন, মাগরিবের নামাজের সময় পার্টি অফিসে কেউ ছিল না। তখন ৫০-৬০ জনের একদল ছাত্র-যুবক তাদের কার্যালয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপর তারা পার্টি কার্যালয়ে ঢুকে সাইনবোর্ড, চেয়ার-টেবিল, ফ্যান, টিভি ভাঙচুর করে। তারা কয়েকটি ফাইল ও কাগজপত্র নিয়ে যায়। এছাড়া তারা কয়েকটি চেয়ার, ব্যানার-প্লাকার্ড নিয়ে পার্টি অফিসের সামনের রাস্তায় আগুন দেয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

খুলনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুল গিয়াস বলেন, সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা মিছিল সহকারে এসে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। তারা অফিসকে কেন্দ্র করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। কার্যালয়ের ভেতর থেকে দুটি প্লাস্টিকের চেয়ার বাইরে এনে অগ্নিসংযোগ করে। যারা হামলা করেছে তাদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।