ঢাকা ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
চিৎকার শুনে ছিনতাইকারীকে দৌড়ে ধরলেন সার্জেন্ট, সোনার চেইন উদ্ধার চিৎকার শুনে ছিনতাইকারীকে দৌড়ে ধরলেন সার্জেন্ট, সোনার চেইন উদ্ধার ড. ইউনূসের সফর বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সম্পর্ক আরও জোরদার করবে ৫ আগস্টের মধ্যে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করতে হবে: নাহিদ ইসলাম শান্তি প্রতিষ্ঠায় দরকার আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন : সৈয়দ রেজাউল করীম দেশের প্রতি মানুষের ভালোবাসার প্রমাণ জুলাই বিপ্লব : জ্বালানি সচিব ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ’ স্লোগানে মুখর বায়তুল মোকাররম এলাকা শুল্ক আরোপ নিয়ে দেশে দেশে টানাপোড়েন, অটল অবস্থানে ট্রাম্প সাংবাদিকতার স্বাধীনতায় সংবিধান ও আইন সংশোধনের সুপারিশ সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তা ও আইনের বিষয়ে যে সুপারিশ করেছে কমিশন

কুয়াকাটায় পর্যটকদের জন্য তাঁবুতে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা

প্রকৃতি, সমুদ্র, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে প্রতিনিয়ত পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ছুটে আসেন হাজার হাজার পর্যটক। তবে এতদিন কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টে রাত্রিযাপন করলেও এবার পর্যটকদের বাড়তি বিনোদন দিতে যুক্ত করা হলো ‘তাঁবুঘর’।

‘নোনা জলের ভেলা’ নামের একটি ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠান কুয়াকাটায় পর্যটকদের জন্য যুক্ত করেছে এ সুবিধা। পর্যটন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা বলছেন, অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী পর্যটকদের জন্য এটি কুয়াকাটায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের ঝাউবন সংলগ্ন তালবাগানে অস্থায়ীভাবে তাঁবু ফেলা হয়। ‘নোনা জলের ভেলা’ নামের এই ইকো ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠানটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম।

এ সময় অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন গলাচিপা উপজেলার নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান, কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমএ মোতালেব শরীফ, কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার, ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের পুলিশ পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসাইন তপু, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) সেক্রেটারি জেনারেল মো. জহিরুল ইসলাম, কুয়াকাটা টেলিভিশন ফোরামের সভাপতি কাজী সাইদ, কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ জসিম উদ্দিন বাবুল ভুঁইয়া, কুয়াকাটা হোটেল খান প্যালেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল খান, কুয়াকাটা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব রেদওয়ানুল ইসলাম রাসেল শেখ, কুয়াকাটা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি কলিম মাহমুদসহ ট্যুরিজম সংশ্লিষ্ট অনেক ব্যবসায়ী।

নোনা জলের ভেলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম মিরন বলেন, কুয়াকাটায় পর্যটকদের বাড়তি বিনোদন দেওয়ার জন্যই এই আয়োজন। এটি কুয়াকাটার সকল দর্শনীয় স্থান ও সমুদ্রের মাঝে জেগে ওঠা বিভিন্ন দ্বীপে ট্যুরিস্ট বোর্ডের মাধ্যমে গিয়ে তাঁবুতে রাত্রিযাপন, ক্যাম্প ফায়ার, সামুদ্রিক মাছ বারবিকিউ পার্টিসহ নানা আয়োজন থাকবে আমাদের প্যাকেজে। এটি শুধু এই আয়োজনেই সীমাবদ্ধ নয়, নোনা জলের ভেলার মাধ্যমে কুয়াকাটায় আগত সকল পর্যটকরা, পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকল সুযোগ-সুবিধা এবং সহায়তা পাবে।

কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য এটা খুবই সুন্দর খবর। পর্যটকদের বিনোদনের জন্য নোনা জলের ভেলা যেসব আয়োজন করেছে তার মধ্যে এটা চমৎকার। আমরা চাই সামনের দিনগুলোতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের জন্য সম্ভাবনাময় আরও অনেক কিছু তৈরি হোক।

এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, পর্যটন নগরীতে এত সুন্দর এবং সময়োপযোগী একটি পদক্ষেপ নেওয়ায় আমি নোনা জলের ভেলা নামের প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। কুয়াকাটায় এরকম ইকো ট্যুরিজম সিস্টেমের ইভেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে তাঁবুঘর যেখানেই তৈরি করা হোক শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আশা করছি নোনা জলের ভেলা পর্যটকদের ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু উপহার দেবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

চিৎকার শুনে ছিনতাইকারীকে দৌড়ে ধরলেন সার্জেন্ট, সোনার চেইন উদ্ধার

কুয়াকাটায় পর্যটকদের জন্য তাঁবুতে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা

প্রকাশিত : ০৩:২২:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রকৃতি, সমুদ্র, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে প্রতিনিয়ত পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ছুটে আসেন হাজার হাজার পর্যটক। তবে এতদিন কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টে রাত্রিযাপন করলেও এবার পর্যটকদের বাড়তি বিনোদন দিতে যুক্ত করা হলো ‘তাঁবুঘর’।

‘নোনা জলের ভেলা’ নামের একটি ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠান কুয়াকাটায় পর্যটকদের জন্য যুক্ত করেছে এ সুবিধা। পর্যটন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা বলছেন, অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী পর্যটকদের জন্য এটি কুয়াকাটায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের ঝাউবন সংলগ্ন তালবাগানে অস্থায়ীভাবে তাঁবু ফেলা হয়। ‘নোনা জলের ভেলা’ নামের এই ইকো ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠানটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম।

এ সময় অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন গলাচিপা উপজেলার নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান, কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমএ মোতালেব শরীফ, কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার, ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের পুলিশ পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসাইন তপু, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) সেক্রেটারি জেনারেল মো. জহিরুল ইসলাম, কুয়াকাটা টেলিভিশন ফোরামের সভাপতি কাজী সাইদ, কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ জসিম উদ্দিন বাবুল ভুঁইয়া, কুয়াকাটা হোটেল খান প্যালেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল খান, কুয়াকাটা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব রেদওয়ানুল ইসলাম রাসেল শেখ, কুয়াকাটা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি কলিম মাহমুদসহ ট্যুরিজম সংশ্লিষ্ট অনেক ব্যবসায়ী।

নোনা জলের ভেলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম মিরন বলেন, কুয়াকাটায় পর্যটকদের বাড়তি বিনোদন দেওয়ার জন্যই এই আয়োজন। এটি কুয়াকাটার সকল দর্শনীয় স্থান ও সমুদ্রের মাঝে জেগে ওঠা বিভিন্ন দ্বীপে ট্যুরিস্ট বোর্ডের মাধ্যমে গিয়ে তাঁবুতে রাত্রিযাপন, ক্যাম্প ফায়ার, সামুদ্রিক মাছ বারবিকিউ পার্টিসহ নানা আয়োজন থাকবে আমাদের প্যাকেজে। এটি শুধু এই আয়োজনেই সীমাবদ্ধ নয়, নোনা জলের ভেলার মাধ্যমে কুয়াকাটায় আগত সকল পর্যটকরা, পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকল সুযোগ-সুবিধা এবং সহায়তা পাবে।

কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য এটা খুবই সুন্দর খবর। পর্যটকদের বিনোদনের জন্য নোনা জলের ভেলা যেসব আয়োজন করেছে তার মধ্যে এটা চমৎকার। আমরা চাই সামনের দিনগুলোতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের জন্য সম্ভাবনাময় আরও অনেক কিছু তৈরি হোক।

এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, পর্যটন নগরীতে এত সুন্দর এবং সময়োপযোগী একটি পদক্ষেপ নেওয়ায় আমি নোনা জলের ভেলা নামের প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। কুয়াকাটায় এরকম ইকো ট্যুরিজম সিস্টেমের ইভেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে তাঁবুঘর যেখানেই তৈরি করা হোক শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আশা করছি নোনা জলের ভেলা পর্যটকদের ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু উপহার দেবে।