ঢাকা ০৭:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
চিৎকার শুনে ছিনতাইকারীকে দৌড়ে ধরলেন সার্জেন্ট, সোনার চেইন উদ্ধার চিৎকার শুনে ছিনতাইকারীকে দৌড়ে ধরলেন সার্জেন্ট, সোনার চেইন উদ্ধার ড. ইউনূসের সফর বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সম্পর্ক আরও জোরদার করবে ৫ আগস্টের মধ্যে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করতে হবে: নাহিদ ইসলাম শান্তি প্রতিষ্ঠায় দরকার আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন : সৈয়দ রেজাউল করীম দেশের প্রতি মানুষের ভালোবাসার প্রমাণ জুলাই বিপ্লব : জ্বালানি সচিব ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ’ স্লোগানে মুখর বায়তুল মোকাররম এলাকা শুল্ক আরোপ নিয়ে দেশে দেশে টানাপোড়েন, অটল অবস্থানে ট্রাম্প সাংবাদিকতার স্বাধীনতায় সংবিধান ও আইন সংশোধনের সুপারিশ সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তা ও আইনের বিষয়ে যে সুপারিশ করেছে কমিশন

চোখের জলে শেষ বিদায়

অনলাইন রিপোর্ট॥
হলের বারান্দা থেকে পড়ে মারা যাওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী কে জি এম শাহরিয়ারের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। চোখের জলে শাহরিয়ারকে শেষ বিদায় জানিয়েছেন ক্যাম্পাসের সহপাঠীরা।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বরে জানাজা শেষে তার মরদেহ লাশবাহী গাড়িতে গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বিরলে রওনা হয়। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন শাহরিয়ারের সহপাঠী, শিক্ষক ও স্বজনেরা।
জানাজায় শাহরিয়ারের বড় ভাই গোলাম শাহরিয়ার সাকি বলেন, আমার স্নেহের ভাইয়ের কফিনের যে ওজন তা নিতে পারবো কিনা জানি না। তাকে সবাই ক্ষমা করে দিয়েন। তার সহপাঠী ও শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা তাকে এভাবে ভালোবাসা ও সহানুভূতি প্রদানের জন্য। আমার ভাই এবং আমাদের পরিবারের জন্য দোয়া করবেন যাতে আমরা শোক কাটিয়ে উঠতে পারি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, মানুষের মৃত্যু অবধারিত। তবে এভাবে আমার ছাত্রের মৃত্যু, শিক্ষক হিসেবে তা কখনোই চাই না। ওর আচরণে কেউ কষ্ট পেলে তাকে ক্ষমা করে দিবেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে কোনো ধরনের সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
উল্লেখ্য, বুধবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় ব্লকের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে আহত হন কে জি এম শাহরিয়ার। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করান হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শাহরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
শাহরিয়ারের মৃত্যুর পর চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ তুলে রাতে হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালান শিক্ষার্থীরা। রাত ২টা পর্যন্ত তারা বিক্ষোভও করেন। পরে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে তারা ক্যাম্পাসে ফেরেন। তবে রাতে কর্মবিরতি পালন করছিলেন হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

চিৎকার শুনে ছিনতাইকারীকে দৌড়ে ধরলেন সার্জেন্ট, সোনার চেইন উদ্ধার

চোখের জলে শেষ বিদায়

প্রকাশিত : ০৫:২৬:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২
অনলাইন রিপোর্ট॥
হলের বারান্দা থেকে পড়ে মারা যাওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী কে জি এম শাহরিয়ারের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। চোখের জলে শাহরিয়ারকে শেষ বিদায় জানিয়েছেন ক্যাম্পাসের সহপাঠীরা।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বরে জানাজা শেষে তার মরদেহ লাশবাহী গাড়িতে গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বিরলে রওনা হয়। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন শাহরিয়ারের সহপাঠী, শিক্ষক ও স্বজনেরা।
জানাজায় শাহরিয়ারের বড় ভাই গোলাম শাহরিয়ার সাকি বলেন, আমার স্নেহের ভাইয়ের কফিনের যে ওজন তা নিতে পারবো কিনা জানি না। তাকে সবাই ক্ষমা করে দিয়েন। তার সহপাঠী ও শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা তাকে এভাবে ভালোবাসা ও সহানুভূতি প্রদানের জন্য। আমার ভাই এবং আমাদের পরিবারের জন্য দোয়া করবেন যাতে আমরা শোক কাটিয়ে উঠতে পারি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, মানুষের মৃত্যু অবধারিত। তবে এভাবে আমার ছাত্রের মৃত্যু, শিক্ষক হিসেবে তা কখনোই চাই না। ওর আচরণে কেউ কষ্ট পেলে তাকে ক্ষমা করে দিবেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে কোনো ধরনের সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
উল্লেখ্য, বুধবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় ব্লকের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে আহত হন কে জি এম শাহরিয়ার। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করান হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শাহরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
শাহরিয়ারের মৃত্যুর পর চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ তুলে রাতে হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালান শিক্ষার্থীরা। রাত ২টা পর্যন্ত তারা বিক্ষোভও করেন। পরে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে তারা ক্যাম্পাসে ফেরেন। তবে রাতে কর্মবিরতি পালন করছিলেন হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।