ঢাকা ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
চিৎকার শুনে ছিনতাইকারীকে দৌড়ে ধরলেন সার্জেন্ট, সোনার চেইন উদ্ধার চিৎকার শুনে ছিনতাইকারীকে দৌড়ে ধরলেন সার্জেন্ট, সোনার চেইন উদ্ধার ড. ইউনূসের সফর বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সম্পর্ক আরও জোরদার করবে ৫ আগস্টের মধ্যে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করতে হবে: নাহিদ ইসলাম শান্তি প্রতিষ্ঠায় দরকার আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন : সৈয়দ রেজাউল করীম দেশের প্রতি মানুষের ভালোবাসার প্রমাণ জুলাই বিপ্লব : জ্বালানি সচিব ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ’ স্লোগানে মুখর বায়তুল মোকাররম এলাকা শুল্ক আরোপ নিয়ে দেশে দেশে টানাপোড়েন, অটল অবস্থানে ট্রাম্প সাংবাদিকতার স্বাধীনতায় সংবিধান ও আইন সংশোধনের সুপারিশ সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তা ও আইনের বিষয়ে যে সুপারিশ করেছে কমিশন

সীমান্তে বিএসএফের কর্মকাণ্ড নি‌য়ে বাংলা‌দেশের উদ্বেগ

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সাম্প্রতিক কার্যকলাপ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র স‌চিব মো. জসীম উদ্দীনের দপ্তরে ডেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ ক‌রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এ‌ দিন রা‌তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তৌ‌ফিক হাসান পররাষ্ট্র স‌চি‌বের বরাত দি‌য়ে জানান, এই ধরনের কার্যকলাপ, বিশেষ করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের অননুমোদিত প্রচেষ্টা এবং বিএসএফের সংশ্লিষ্ট অপারেশনাল পদক্ষেপ সীমান্তে উত্তেজনা ও ঝামেলা সৃষ্টি করেছে। যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সহযোগিতা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের চেতনাকে ক্ষুণ্ন করে।

পররাষ্ট্র সচিব আশা প্রকাশ করেন, আসন্ন বিজিবি-বিএসএফ ডিজি পর্যায়ের আলোচনায় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা সম্ভব হবে। সুনামগঞ্জে বিএসএফের হাতে সম্প্রতি এক বাংলাদেশি নাগরিকের হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব সীমান্তে হত্যার পুনরাবৃত্তি নিয়ে গভীর উদ্বেগ এবং হতাশা প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্র সচিব উল্লেখ করেন যে, গুরুতর উদ্বেগের বিষয় যে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বারবার অ-প্রাণঘাতী কৌশল অনুসরণ এবং হত্যা বন্ধ করার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও এই ধরনের হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে।

পররাষ্ট্রসচিব ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন ভারতের সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে এমন কোনও উস্কানিমূলক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন, যা সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে পারে।

মো. জসীম উদ্দিন আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে এই ধরণের সমস্যাগুলো গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে, বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে এবং সীমান্তে শান্তি ও স্থায়িত্ব বজায় রাখার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

চিৎকার শুনে ছিনতাইকারীকে দৌড়ে ধরলেন সার্জেন্ট, সোনার চেইন উদ্ধার

সীমান্তে বিএসএফের কর্মকাণ্ড নি‌য়ে বাংলা‌দেশের উদ্বেগ

প্রকাশিত : ০১:০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সাম্প্রতিক কার্যকলাপ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র স‌চিব মো. জসীম উদ্দীনের দপ্তরে ডেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ ক‌রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এ‌ দিন রা‌তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তৌ‌ফিক হাসান পররাষ্ট্র স‌চি‌বের বরাত দি‌য়ে জানান, এই ধরনের কার্যকলাপ, বিশেষ করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের অননুমোদিত প্রচেষ্টা এবং বিএসএফের সংশ্লিষ্ট অপারেশনাল পদক্ষেপ সীমান্তে উত্তেজনা ও ঝামেলা সৃষ্টি করেছে। যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সহযোগিতা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের চেতনাকে ক্ষুণ্ন করে।

পররাষ্ট্র সচিব আশা প্রকাশ করেন, আসন্ন বিজিবি-বিএসএফ ডিজি পর্যায়ের আলোচনায় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা সম্ভব হবে। সুনামগঞ্জে বিএসএফের হাতে সম্প্রতি এক বাংলাদেশি নাগরিকের হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব সীমান্তে হত্যার পুনরাবৃত্তি নিয়ে গভীর উদ্বেগ এবং হতাশা প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্র সচিব উল্লেখ করেন যে, গুরুতর উদ্বেগের বিষয় যে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বারবার অ-প্রাণঘাতী কৌশল অনুসরণ এবং হত্যা বন্ধ করার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও এই ধরনের হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে।

পররাষ্ট্রসচিব ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন ভারতের সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে এমন কোনও উস্কানিমূলক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন, যা সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে পারে।

মো. জসীম উদ্দিন আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে এই ধরণের সমস্যাগুলো গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে, বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে এবং সীমান্তে শান্তি ও স্থায়িত্ব বজায় রাখার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।