ঢাকা ০৯:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
চিৎকার শুনে ছিনতাইকারীকে দৌড়ে ধরলেন সার্জেন্ট, সোনার চেইন উদ্ধার চিৎকার শুনে ছিনতাইকারীকে দৌড়ে ধরলেন সার্জেন্ট, সোনার চেইন উদ্ধার ড. ইউনূসের সফর বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সম্পর্ক আরও জোরদার করবে ৫ আগস্টের মধ্যে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করতে হবে: নাহিদ ইসলাম শান্তি প্রতিষ্ঠায় দরকার আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন : সৈয়দ রেজাউল করীম দেশের প্রতি মানুষের ভালোবাসার প্রমাণ জুলাই বিপ্লব : জ্বালানি সচিব ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ’ স্লোগানে মুখর বায়তুল মোকাররম এলাকা শুল্ক আরোপ নিয়ে দেশে দেশে টানাপোড়েন, অটল অবস্থানে ট্রাম্প সাংবাদিকতার স্বাধীনতায় সংবিধান ও আইন সংশোধনের সুপারিশ সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তা ও আইনের বিষয়ে যে সুপারিশ করেছে কমিশন

আরও ২ স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত অন্তত ৩০

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় কমপক্ষে আরও ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। উপত্যকাটির দুটি স্কুলে চালানো এই হামলায় নিহতদের ৮০ শতাংশই শিশু। হামলায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কিছু মানুষ।
হামলার শিকার স্কুল দুটিতে ফিলিস্তিনি শরণার্থী পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছিল। রোববার (৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা শহরের বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত দুটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, গাজা শহরের পশ্চিমে হাসান সালামা এবং আল-নাসর স্কুলকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘নিহতদের প্রায় ৮০ শতাংশই শিশু।’
এই মুখপাত্র বোমা হামলার পর দুটি স্কুলের দৃশ্যকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘গাজা শহরে আর নিরাপদ স্থান নেই এবং (ইসরায়েলি) বাহিনী পবিত্র এসব স্থানকে সম্মান করে না।’
এর আগে শনিবার গাজা শহরের শেখ রাদওয়ান এলাকায় বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত একটি স্কুলে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান হামলা চালালে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের মতে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ১৫২টি স্কুলসহ বাস্তুচ্যুত মানুষদের আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহৃত অন্তত ১৭২টি কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলা হয়েছে।
বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘স্কুলে হামলায় এক হাজার ৪০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন এবং এই গণহত্যাগুলো টানা ১০ মাস ধরে আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান অপরাধের অংশ হয়েই রয়েছে।’
মিডিয়া অফিস ইসরায়েলি দখলদারিত্ব এবং মার্কিন প্রশাসনকে ‘বাস্তুচ্যুত ও বেসামরিকদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত গণহত্যার জন্য দায়ী করেছে’। একইসঙ্গে গাজা উপত্যকায় চলমান রক্তপাত বন্ধ করার জন্য তেল আবিব এবং ওয়াশিংটনের ওপর চাপ সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

চিৎকার শুনে ছিনতাইকারীকে দৌড়ে ধরলেন সার্জেন্ট, সোনার চেইন উদ্ধার

আরও ২ স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত অন্তত ৩০

প্রকাশিত : ০৯:০০:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০২৪

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় কমপক্ষে আরও ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। উপত্যকাটির দুটি স্কুলে চালানো এই হামলায় নিহতদের ৮০ শতাংশই শিশু। হামলায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কিছু মানুষ।
হামলার শিকার স্কুল দুটিতে ফিলিস্তিনি শরণার্থী পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছিল। রোববার (৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা শহরের বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত দুটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, গাজা শহরের পশ্চিমে হাসান সালামা এবং আল-নাসর স্কুলকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘নিহতদের প্রায় ৮০ শতাংশই শিশু।’
এই মুখপাত্র বোমা হামলার পর দুটি স্কুলের দৃশ্যকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘গাজা শহরে আর নিরাপদ স্থান নেই এবং (ইসরায়েলি) বাহিনী পবিত্র এসব স্থানকে সম্মান করে না।’
এর আগে শনিবার গাজা শহরের শেখ রাদওয়ান এলাকায় বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত একটি স্কুলে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান হামলা চালালে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের মতে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ১৫২টি স্কুলসহ বাস্তুচ্যুত মানুষদের আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহৃত অন্তত ১৭২টি কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলা হয়েছে।
বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘স্কুলে হামলায় এক হাজার ৪০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন এবং এই গণহত্যাগুলো টানা ১০ মাস ধরে আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান অপরাধের অংশ হয়েই রয়েছে।’
মিডিয়া অফিস ইসরায়েলি দখলদারিত্ব এবং মার্কিন প্রশাসনকে ‘বাস্তুচ্যুত ও বেসামরিকদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত গণহত্যার জন্য দায়ী করেছে’। একইসঙ্গে গাজা উপত্যকায় চলমান রক্তপাত বন্ধ করার জন্য তেল আবিব এবং ওয়াশিংটনের ওপর চাপ সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়েছে তারা।